Skip to content

পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করার উপায় কি? -চাকরি নাকি ব্যবসা!

বর্তমান সময়ে শুধুমাত্র পড়াশোনার ওপর নির্ভর না করে পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করার উপায় খোঁজা অনেক শিক্ষার্থীর জন্য একটি বাস্তব প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। উচ্চ শিক্ষা, ব্যক্তিগত খরচ কিংবা ক্যারিয়ারের প্রস্তুতির জন্য অনেকেই ছোটখাটো উপার্জনের পথ খুঁজে নিচ্ছে।

প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে আজকাল ঘরে বসেই অনলাইনে বিভিন্নভাবে আয় করা সম্ভব, পাশাপাশি অফলাইনে প্রাইভেট টিউশন বা পার্ট-টাইম কাজ করেও আয় করা যায়। এসব উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের শুধু আর্থিকভাবে সহযোগিতা করে না, বরং বাস্তব অভিজ্ঞতা ও আত্মবিশ্বাস অর্জনেরও পথ খুলে দেয়।

সঠিক পরিকল্পনা, সময় ব্যবস্থাপনা এবং আগ্রহ থাকলে একজন শিক্ষার্থী খুব সহজেই পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করেও নিজের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে।

পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করার উপায়- (সেরা ১০টি আইডিয়া)

পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীরা আয় করার অনেক উপায় বেছে নিতে পারে। নিচে এমন ১০টি জনপ্রিয় ও বাস্তবসম্মত উপায় উল্লেখ করা হলো:

১। প্রাইভেট টিউশনি করে আয়

স্কুল-কলেজের ছোট শিক্ষার্থীদের পড়িয়ে সহজে আয় করা যায়। ঢাকায় টিউশনি করে মাসিক আয় শিক্ষার্থীদের জন্য একটি জনপ্রিয় ও কার্যকর উপায়। টিউশনির বেতন বিভিন্ন বিষয়, শ্রেণি, শিক্ষার্থীর সংখ্যা, সপ্তাহে পড়ানোর দিনসংখ্যা এবং শিক্ষকের অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়।

যদি টিউশনি খুজে পেতে সমস্যা হয়, অনালাইন বিভিন্ন টিউটর প্লাটফর্ম (যেমন Tutorsheba, TutorprovideTuitionterminal বা BdTutor) এ প্রোফাইল করুন, আশা করি খুব দ্রুত টিউশনি পেয়ে যাবেন।

ঢাকায় টিউশনির মাসিক বেতনের সাধারণ রেঞ্জ:

  • প্রাথমিক শ্রেণি (কেজি – ৫ম): ২,০০০ – ৫,০০০ টাকা
  • মাধ্যমিক শ্রেণি (৬ষ্ঠ – ১০ম): ৪,০০০ – ৮,০০০ টাকা
  • উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি): ৬,০০০ – ১২,০০০ টাকা
  • ইংলিশ ভার্সন/মিডিয়াম: ৭,০০০ – ১৫,০০০ টাকা
  • IELTS/ভাষা কোর্স: ৬,০০০ – ২০,০০০ টাকা
উদাহরণস্বরূপ কিছু টিউশনির বেতন:
  • শাহজাহানপুর, ক্লাস ২, সপ্তাহে ৫ দিন: ৫,০০০ টাকা/ মাস
  • মিরপুর ডিওএইচএস, প্রি-স্কুল, সপ্তাহে ২ দিন: ৩,০০০ – ৫,০০০ টাকা/ মাস
  • বনশ্রী, এ-লেভেল, সপ্তাহে ৩ দিন: ৮,০০০ টাকা/ মাস
  • মোহাম্মদপুর, ক্লাস ১১, ইংলিশ ভার্সন, সপ্তাহে ৪ দিন: ৭,০০০ – ১০,০০০টাকা/ মাস

ঢাকায় টিউশনির মাসিক বেতন সাধারণত ২,০০০ টাকা থেকে শুরু করে অভিজ্ঞতা ও বিষয়ভিত্তিকভাবে ২০,০০০ টাকা বা তার বেশি হতে পারে। বিশেষ করে ইংলিশ মিডিয়াম, IELTS প্রস্তুতি বা বিশেষ বিষয়ের জন্য বেতন তুলনামূলকভাবে বেশি। ৫-৬ টা টিউশনি করে গড়ে ৬,০০০ টাকা করে হলেও মাসে ৩০,০০০ টাকা আয় করা সম্ভব।

২। পড়াশোনার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করে আয়

পড়াশোনার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ( Fiverr, Upwork বা Freelancer.com) এ কাজ করে আয় করা আজকাল অনেক শিক্ষার্থীর জন্য জনপ্রিয় ও সহজ উপায় হয়ে উঠেছে। গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, কনটেন্ট রাইটিং ইত্যাদি কাজ করে শিক্ষার্থীরা বাড়িতে বসেই উপার্জন করতে পারে। এতে সময়ের স্বাচ্ছন্দ্য থাকে এবং ভবিষ্যতের ক্যারিয়ারের জন্য দক্ষতা অর্জন সম্ভব হয়।

৩। অনলাইন টিচিং / কোচিং

অনলাইন টিচিং / কোচিং করে পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করা শিক্ষার্থীদের জন্য একটি জ্ঞানভিত্তিক ও সম্মানজনক উপায়। নিজের সাবজেক্টে ভালো জ্ঞান থাকলে অনলাইনে Zoom বা Google Meet-এর মাধ্যমে ছোট শিক্ষার্থীদের পড়িয়ে আয় করতে পারে। এতে নিজের বিষয়ভিত্তিক দক্ষতা বাড়ে এবং আত্মবিশ্বাসও তৈরি হয়।

৪। মোবাইল ফটোগ্রাফি করে আয়

মোবাইল ফটোগ্রাফি করে পড়াশোনার পাশাপাশি অর্থ উপার্জন করা সহজ এবং মজার একটি উপায়। শিক্ষার্থীরা তাদের তোলা ছবি সোশ্যাল মিডিয়া বা স্টক ফটোগ্রাফি সাইটে (Shutterstock, Adobe Stock, iStock etc.) বিক্রি করে আয় করতে পারে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ছবি বিক্রি করে ঘরে বসে টাকা আয় করতে পারে।

এসব আয় করার উপায়ে সময় ও দক্ষতা অনুযায়ী জড়িত হয়ে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের খরচ চালাতে, আত্মনির্ভরশীল হতে এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারে।

৫। অনলাইন ব্যবসা (E-commerce)

অনলাইন ব্যবসা (E-commerce) করে পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করা শিক্ষার্থীদের জন্য এক চমৎকার সুযোগ। তারা Facebook, Instagram বা ওয়েবসাইটে পোশাক, গিফট আইটেম, হ্যান্ডমেড পণ্য, কসমেটিকস বা খাবার বিক্রি করে আয় করতে পারে। এই অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে বড় উদ্যোক্তা হয়ে উঠার পথও খুলে দেয়।

৬। পড়াশোনার পাশাপাশি ব্লগিং করে আয়

ব্লগিং করে পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করা শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সৃজনশীল ও স্বাধীন উপায়। নিজের ব্লগ সাইট চালিয়ে বা অন্যের জন্য লেখা লিখে আয় করা সম্ভব। নিজের আগ্রহ ও জ্ঞান ভিত্তিক বিষয় নিয়ে লিখে শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞাপন, স্পন্সরশিপ বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করতে পারে।

৭। পড়াশোনার পাশাপাশি ইউটিউব থেকে আয়

ইউটিউব থেকে ইনকাম করা পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করা শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সৃজনশীল ও জনপ্রিয় মাধ্যম। তারা শিক্ষামূলক, বিনোদনমূলক বা ইনফরমেটিভ ভিডিও বানিয়ে ভিউ ও সাবস্ক্রাইবারের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারে। নিয়মিত কনটেন্ট তৈরি করে তারা নিজের একটি ব্র্যান্ড গড়ে তুলতেও সক্ষম হয়।

৮। সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট করে পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করা শিক্ষার্থীদের জন্য একটি জনপ্রিয় ও লাভজনক সুযোগ। ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের জন্য Instagram, TikTok বা Facebook পেজ পরিচালনা করে তারা নিয়মিত আয় করতে পারে। এ কাজের মাধ্যমে কমিউনিকেশন ও মার্কেটিং স্কিলও বৃদ্ধি পায়, যা ভবিষ্যতে ক্যারিয়ারে সহায়ক।

৯। গ্রাফিক ডিজাইন বা ভিডিও এডিটিং

গ্রাফিক ডিজাইন বা ভিডিও এডিটিং করে পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করা অনেক শিক্ষার্থীর কাছে আকর্ষণীয় একটি কাজ। শিক্ষার্থীরা Photoshop, Canva, বা Premiere Pro শিখে ক্লায়েন্টের জন্য পোস্টার, লোগো বা ভিডিও তৈরি করে ফ্রিল্যান্স প্ল্যাটফর্ম থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারে। এই দক্ষতাগুলো ভবিষ্যতে পেশাগত জীবনের জন্য বড় সুযোগ তৈরি করে দেয়।

১০। ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয়

ডিজিটাল মার্কেটিং করে পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করা শিক্ষার্থীদের জন্য একটি আধুনিক ও লাভজনক উপায়। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে (Facebook, Instagram, Tiktok) পণ্য বা বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে তারা ঘরে বসেই টাকা উপার্জন করতে পারে। এই কাজের মাধ্যমে তারা মার্কেটিং স্কিল শিখে ভবিষ্যতে ক্যারিয়ার গড়তেও সহায়তা পায়।

পড়াশোনার পাশাপাশি কি করা যায়?

পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা নানা গঠনমূলক ও সৃজনশীল কাজে যুক্ত হতে পারে, যা তাদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক। যেমন, বিভিন্ন স্কিল ডেভেলপমেন্ট কোর্স করা যায়—যেমন গ্রাফিক ডিজাইন, প্রোগ্রামিং, ফটোগ্রাফি, বা ডিজিটাল মার্কেটিং। এ ধরনের দক্ষতা ভবিষ্যতের ক্যারিয়ারে সহায়তা করে।

এছাড়া, প্রাইভেট টিউশনি, ফ্রিল্যান্সিং, বা ছোটখাটো অনলাইন ব্যবসা শুরু করাও সম্ভব। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাব, সেমিনার, ওয়ার্কশপ বা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে লিডারশিপ ও কমিউনিকেশন স্কিল বাড়ানো যায়।

অবসর সময়ে পড়ালেখার বাইরের বই পড়া, ব্লগ লেখা বা যেকোনো সৃজনশীল চর্চাও মানসিক বিকাশে সাহায্য করে। পড়াশোনার পাশাপাশি এমন কার্যক্রম একজন শিক্ষার্থীকে আরও আত্মনির্ভরশীল ও আত্মবিশ্বাসী করে তোলে।

বিস্তারিত পড়ুন: পার্ট টাইম কাজ করে কিভাবে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করবেন?

পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি করে আয়:

পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি করে আয় করা বর্তমানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি প্রচলিত এবং কার্যকর উপায় হয়ে উঠেছে। অনেকেই পার্ট-টাইম বা ফ্রিল্যান্স চাকরির মাধ্যমে নিজের খরচ চালানো, অভিজ্ঞতা অর্জন এবং আত্মনির্ভরশীল হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে।

বিশেষ করে কল সেন্টার, রিটেইল শপ, টিউশন সেন্টার, অনলাইন সার্ভিস, কিংবা ডেটা এন্ট্রি, ডিজিটাল মার্কেটিং বা গ্রাফিক ডিজাইন– এসব ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীরা সহজেই কাজ পেতে পারে। এতে করে একদিকে যেমন আয় হয়, অন্যদিকে বাস্তব অভিজ্ঞতার মাধ্যমে ক্যারিয়ারের জন্য প্রস্তুত হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।

তবে পড়াশোনার ক্ষতি না করে সময় ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে এমন চাকরি বেছে নেওয়া উচিত, যা শিক্ষাজীবনের সহায়ক হয়।

বিস্তারিত পড়ুন: জিরো ইনভেস্টমেন্টে কিভাবে টাকা আয় করা যায়?

পড়াশোনার পাশাপাশি ব্যবসা করে আয়:

পড়ালেখার পাশাপাশি ব্যবসা করে আয় করা শিক্ষার্থীদের জন্য একটি চমৎকার উপায় হতে পারে আত্মনির্ভরশীলতা অর্জনের। বর্তমানে অনেক শিক্ষার্থী ছোট পরিসরে অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসা শুরু করছে, যেমন—ফেসবুক পেজে পোশাক, হস্তশিল্প, খাবার বা কসমেটিকস বিক্রি। কেউ আবার প্রিন্ট অন ডিমান্ড, ড্রপশিপিং বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মতো ডিজিটাল ব্যবসার দিকেও ঝুঁকছে।

এসব ব্যবসা তুলনামূলকভাবে কম মূলধনে শুরু করা যায় এবং সময়ের সাথে সহজেই বাড়ানো যায়। ব্যবসার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী শুধু আয়ই করে না, বরং বাস্তব জীবন সম্পর্কে অভিজ্ঞতা, লেনদেনের কৌশল, এবং উদ্যোক্তা দক্ষতাও অর্জন করে, যা ভবিষ্যতে বড় পরিসরে ক্যারিয়ার গড়তে সহায়ক হয়।

বিজনেস আইডিয়া ফর স্টুডেন্ট:

বর্তমান যুগে স্টুডেন্টদের জন্য ব্যবসায়িক আইডিয়া অনেক বিস্তৃত ও সম্ভাবনাময়। পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্ররা ছোটখাটো উদ্যোগ শুরু করে নিজের দক্ষতা ও সৃজনশীলতা কাজে লাগিয়ে আয়ের উৎস তৈরি করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ফ্রিল্যান্সিং, ব্লগিং, ইউটিউব চ্যানেল বা অনলাইন কোর্সের মাধ্যমে তাদের বিশেষজ্ঞতা ও শখকে আয়-উৎসে রূপান্তর করা সম্ভব।

এছাড়া ডিজিটাল মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট, গ্রাফিক ডিজাইন ও ওয়েব ডেভেলপমেন্টের মত আধুনিক স্কিলগুলো শিখে ছাত্ররা ফ্রীল্যান্স মার্কেটে ভালো সফলতা অর্জন করতে পারে।

বিস্তারিত পড়ুন: ৩০ হাজার টাকা আয় করার ৩০টি ব্যবসার আইডিয়া

এমনকি, ইউনিভার্সিটির বন্ধুদের সাথে দলবদ্ধ হয়ে একটি স্টার্টআপ আইডিয়া নিয়ে কাজ শুরু করলে পরবর্তীতে ব্যাপক উন্নয়নের সম্ভাবনা থাকে। সবশেষে, সঠিক পরিকল্পনা ও উদ্যম থাকলে স্টুডেন্টরা ছোট থেকেই বড় ব্যবসায়িক সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম।

পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করার উপায়

FAQ: পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করার উপায়

Q. একজন স্টুডেন্ট পড়াশুনা শেষে কত টাকা Starting Salary পেতে পারে?

বাংলাদেশে একজন স্টুডেন্ট পড়াশোনা শেষে যেটা Starting Salary হিসেবে পেতে পারে, তা অনেক কিছু উপর নির্ভর করে, যেমন:

পড়াশুনার বিষয়সম্ভাব্য Starting Salary (মাসিক)
Computer Science / Software Engineering২০,০০০ টাকা – ৬০,০০০ টাকা
Business Administration (BBA/MBA)১৫,০০০ টাকা – ৪০,০০০০ টাকা
B.Sc in Electrical / Civil Engineering/ Others২৫,০০০ টাকা – ৫০,০০০ টাকা
English / Arts / Social Science১০,০০০ টাকা – ২৫,০০০ টাকা
Medical (MBBS, internship)১৫,০০০ টাকা – ২৫,০০০ টাকা
Diploma/Polytechnic১৩,০০০ টাকা – ২৫,০০০ টাকা

যদি স্টুডেন্টের কাছে জব রিলেটেড স্কিল থাকে, তাহলে বেতন অনেক ভালো হতে পারে । একজন নতুন গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্ট বাংলাদেশে সাধারণত ১৫,০০০ টাকা থেকে ৩০,০০০ টাকার মধ্যে শুরু করে। তবে ভালো স্কিল বা ভালো কোম্পানিতে সুযোগ পেলে ৫০,০০০ টাকা বা তার বেশি পাওয়াও সম্ভব।

Q. শিক্ষার্থীদের আয়ের উৎস কি কি?

প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই বিভিন্ন উপায়ে আয় করতে পারছে। ফ্রিল্যান্সিং যেমন গ্রাফিক ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, এবং ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মতো কাজে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারে।

এছাড়া প্রাইভেট টিউশনি শিক্ষার্থীদের জন্য অন্যতম জনপ্রিয় আয়ের মাধ্যম। অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ভিডিও তৈরি করে (যেমন ইউটিউব), ব্লগিং, বা সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট তৈরি করেও তারা আয় করতে পারে।

আবার কেউ কেউ ছোটখাটো অনলাইন ব্যবসা শুরু করে (যেমন পোশাক, হ্যান্ডমেড প্রোডাক্ট, বা ফুড ডেলিভারি) আয় করছে। এইসব আয়ের উৎস শুধু অর্থ উপার্জনের পথই নয়, বরং ক্যারিয়ার গঠনেরও শক্তিশালী ভিত্তি হিসেবে কাজ করছে।

পরামর্শ: পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করার উপায়

পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করার উপায় নিয়ে আলোচনা করলে দেখা যায়, বর্তমান যুগে শিক্ষার্থীরা নানা বাস্তবমুখী এবং প্রযুক্তিনির্ভর পথে আয়ের সুযোগ পাচ্ছে। প্রাইভেট টিউশন, ফ্রিল্যান্সিং, অনলাইন ব্যবসা, ইউটিউব, ব্লগিং, ডিজিটাল মার্কেটিং কিংবা পার্ট-টাইম চাকরির মাধ্যমে তারা পড়াশোনার পাশাপাশি অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হচ্ছে।

এসব আয়ের উৎস শুধুমাত্র আর্থিক সহায়তা নয়, বরং বাস্তব অভিজ্ঞতা, স্কিল ডেভেলপমেন্ট এবং আত্মনির্ভরতা তৈরিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সঠিক সময় ব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা এসব উপায়ে জড়িয়ে পড়লে ভবিষ্যতের ক্যারিয়ার গঠনে তা বিশেষ সহায়ক হতে পারে।

আরও পড়ুন কিভাবে পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করা যায়ঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Don`t copy text!