বর্তমান ডিজিটাল যুগে ঘরে বসে আয় করার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যমগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো Fiverr। অনেকেই জানেন না, ফাইবার থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়? এই আর্টিকেলে আমরা জানব কিভাবে আপনি ফাইভারে একটি প্রফেশনাল প্রোফাইল তৈরি করে, দক্ষতা অনুযায়ী সার্ভিস অফার করে এবং নিয়মিত ইনকাম শুরু করতে পারেন। ফাইভারে সফল হওয়ার সম্পূর্ণ রোডম্যাপ পেতে আর্টিকেল টি বিস্তারিত পড়ুন।
ফাইভার কী?
ফাইভার হলো একটি আন্তর্জাতিক ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস, যেখানে আপনি যেকোনো ধরণের ডিজিটাল সার্ভিস প্রদান করতে পারেন—যেমন: লোগো ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং, ভিডিও এডিটিং, ওয়েব ডিজাইন, এসইও সার্ভিস ইত্যাদি।
ফাইবার থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়?
আপনি যদি ফাইভার থেকে টাকা ইনকাম করতে চান, তাহলে আপনাকে প্রথমে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। আপনার কোন কাজে দক্ষতা আছে তা আগে বুঝতে হবে, আপনার প্রোফাইল যতটা সম্ভব পেশাদার করতে হবে, Gig অবশ্যই আকর্ষণীয় ও পরিষ্কার শিরোনামসহ ভালো ডিসক্রিপশন এবং কিওয়ার্ড যুক্ত হতে হবে, শুধু Fiverr-এর ভেতরে বসে থাকলে হবে না। আপনার গিগ সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করতে হবে এবং আপনি যদি ক্লায়েন্টের চাহিদা বোঝেন, তাহলে রেটিং ভালো হবে এবং রিপিট অর্ডার পাবেন।
ফাইভারে আপনি মাসে ৫০০০ টাকা থেকে শুরু করে লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন, যদি আপনি ধৈর্য ধরে কাজ করেন, স্কিল উন্নত করেন, এবং ক্লায়েন্টদের ভালো সার্ভিস দেন। এটি একটি সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া, কিন্তু সম্ভব। আর্টিকেলটিতে ফাইবার থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় তার বিস্তারিস্ত ধারনা দেয়া হয়েছে। মনোযোগ দিয়ে পড়ুন, আপনি ও সফল হতে পারবেন।
কিভাবে ফাইভারে কাজ শুরু করবেন?
১. ফাইভারে অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন
ফাইভার থেকে টাকা আয় করার প্রথম এবং গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলো একটি পেশাদার প্রোফাইল তৈরি করা। যখন আপনি ফাইভারে প্রথম বার কাজ শুরু করবেন, তখন আপনার প্রোফাইলটি আকর্ষণীয় এবং পূর্ণাঙ্গ হতে হবে। এটি আপনার প্রথম ইমপ্রেশন তৈরি করবে ক্লায়েন্টদের কাছে।
- ফাইবার ওয়েবসাইট এ যান । ‘Become a Seller’ অপশনে ক্লিক করে সাইন আপ করুন
- প্রোফাইল তথ্য যেমন: ছবি, বায়ো, দক্ষতা এবং ভাষাগত সক্ষমতা যুক্ত করুন
২. একটি প্রফেশনাল গিগ (Gig) তৈরি করুন
ফাইভারে আপনার সার্ভিস প্রদানের মূল অংশ হলো গিগ তৈরি করা। একটি গিগ হলো একটি পরিষেবা যা আপনি ক্লায়েন্টদের কাছে অফার করবেন। প্রতিটি গিগের একটি শিরোনাম, বর্ণনা, প্রাইসিং এবং গ্যালারি থাকবে।
- Gig Title: পরিষ্কার এবং আকর্ষণীয় শিরোনাম দিন
- Category & Tags: আপনার সার্ভিসের উপযুক্ত ক্যাটাগরি এবং ট্যাগ ব্যবহার করুন
- Pricing: Basic, Standard এবং Premium—এই তিনটি প্যাকেজ তৈরি করুন
- Description: পরিষ্কারভাবে লিখুন আপনি কী সার্ভিস দিবেন
- FAQ ও Requirements: ক্লায়েন্টদের প্রশ্নের উত্তর আগে থেকেই দিন
- Gallery: সুন্দর থাম্বনেইল, ভিডিও বা স্যাম্পল যুক্ত করুন
কোন স্কিল গুলোতে বেশি ইনকাম সম্ভব?
ফাইভার একটি বিস্তৃত প্ল্যাটফর্ম, যেখানে বহু ধরনের সার্ভিস অফার করা হয়। আপনাকে প্রথমে ঠিক করতে হবে যে আপনি কোন দক্ষতায় কাজ করবেন। নিচে কিছু জনপ্রিয় এবং লাভজনক ক্যাটাগরি দেওয়া হলো:
স্কিল | গিগ আইডিয়া |
---|---|
গ্রাফিক ডিজাইন | লোগো ডিজাইন, ব্যানার, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট |
ডিজিটাল মার্কেটিং | SEO, Facebook Ads, Google Ads |
ভিডিও এডিটিং | ইউটিউব ভিডিও এডিটিং, ইনট্রো/আউট্রো |
কনটেন্ট রাইটিং | ব্লগ পোস্ট, কপিরাইটিং, প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন |
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট | WordPress, Shopify, HTML/CSS |
ইনকামের পরিমাণ কত হতে পারে?
আপনার দক্ষতা, কাজের মান এবং রিভিউ-এর ওপর নির্ভর করে আপনি প্রতি গিগ থেকে $5 থেকে শুরু করে $500 বা প্রায় ৬,০০০ টাকারও বেশি ইনকাম করতে পারেন। অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সাররা মাসে $1000+ বা প্রায় ১ লক্ষ বিশ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করছেন।
ফাইভার থেকে টাকা তুলবেন কীভাবে?
১. Payoneer অ্যাকাউন্ট খুলে ফাইভারের সঙ্গে লিংক করুন
২. Fiverr Revenue Card অথবা Bank Transfer এর মাধ্যমে টাকা তুলতে পারবেন
৩. টাকা তুলতে হলে মিনিমাম ব্যালেন্স থাকতে হবে $20
ফাইভারে সফল হওয়ার সম্পূর্ণ রোডম্যাপ
১. সঠিক দক্ষতা নির্বাচন করুন
ফাইভারে কাজ করার আগে আপনাকে জানতে হবে—আপনি কী ভালো পারেন বা কী শিখতে ইচ্ছুক। অনেকেই ভুল করে জনপ্রিয়তা দেখে স্কিল বেছে নেন, অথচ সেটিতে তারা পারদর্শী নন। নিচে কিছু নিম্ন প্রতিযোগিতার কিন্তু লাভজনক স্কিলের উদাহরণ দেওয়া হলো:
স্কিল | জনপ্রিয় গিগ আইডিয়া |
---|---|
Canva ডিজাইন | Pinterest পিন, Instagram পোস্ট ডিজাইন |
Virtual Assistant | ডেটা এন্ট্রি, ইমেইল ম্যানেজমেন্ট |
AI Content Editing | ChatGPT কনটেন্ট রিভাইজিং, গ্রামার চেক |
Resume Writing | ATS-friendly CV, Cover Letter |
Voice Over | বাংলা/ইংরেজি ভয়েস ওভার (YouTube, বিজ্ঞাপন) |
টিপস: ইউটিউব, Udemy বা Coursera থেকে ফ্রি বা পেইড কোর্স করে দক্ষতা বাড়াতে পারেন।
২. আকর্ষণীয় গিগ টাইটেল ও ডেসক্রিপশন লিখুন
একটি গিগ হচ্ছে আপনার অনলাইন দোকান। তাই এটিকে প্রেজেন্ট করতে হবে একদম প্রফেশনাল ও আকর্ষণীয়ভাবে।
উদাহরণ (SEO Friendly Gig Title):
“I will create eye-catching social media posts using Canva”
“আমি আপনার জন্য প্রফেশনাল রিজুমি ও কভার লেটার তৈরি করব”
ভালো গিগ ডেসক্রিপশন লেখার ফর্মুলা:
- আপনি কে ও কী সার্ভিস দিচ্ছেন
- ক্লায়েন্ট কেন আপনাকে বেছে নেবে (আপনার দক্ষতা/অভিজ্ঞতা)
- কাজের প্রসেস কীভাবে চলবে
- ডেলিভারির সময়সীমা ও গ্রাহক সাপোর্ট
৩. গিগ SEO অপ্টিমাইজ করুন
ফাইভারে গিগ র্যাংকিং এর জন্য কীওয়ার্ড ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গিগের টাইটেল, ট্যাগ, ডেসক্রিপশন—সব জায়গায় সঠিক কীওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে।
Keyword Tool: Fiverr Suggestion বা Ubersuggest ব্যবহার করে কীওয়ার্ড খুঁজে নিন।
উদাহরণ কীওয়ার্ড:
- logo design
- resume writing
- SEO expert
- WordPress website design
- virtual assistant
৪. ফাইভারে প্রথম অর্ডার পাওয়ার স্ট্র্যাটেজি
প্রথম অর্ডার পেতে একটু ধৈর্য এবং স্মার্ট মার্কেটিং লাগে।
Buyer Request ব্যবহার করুন: প্রতিদিন buyer request চেক করে কাস্টম অফার পাঠান
নিচু দামে শুরু করুন: শুরুতে প্রতিযোগিতামূলক দামে অফার দিন
ফেইসবুক গ্রুপ/লিংকডইন ব্যবহার করুন: নিজের গিগ শেয়ার করুন
ফাইভার Forum ও কোরায় Active থাকুন: আপনাকে খুঁজে পাওয়া যাবে সহজে
৫. ভালো রিভিউ পাওয়ার টিপ
- সময়মতো কাজ জমা দিন
- কমিউনিকেশন ভালো রাখুন
- অতিরিক্ত কিছু ফ্রি দিন (bonus)
- ক্লায়েন্টকে রিভিউ দেওয়ার অনুরোধ করুন (সৌজন্যমূলকভাবে)
৬. ইনকাম ও উইথড্র সিস্টেম
ফাইভারে টাকা জমা হয় “Earnings” সেকশনে। অর্ডার ডেলিভারির ১৪ দিন পর টাকা উইথড্র করা যায়।
উইথড্র মেথড:
- Payoneer (সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বাংলাদেশে সহজ)
- Bank Transfer (Payoneer-এর মাধ্যমেই)
- Fiverr Revenue Card
- Paypal (বাংলাদেশে কার্যকর না)

ফাইভার থেকে ইনকাম করার টিপস :
১. রিভিউ এবং রেটিং বাড়ানো
ফাইভারে ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে ভালো রিভিউ পাওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভালো রিভিউ পেলে আপনার গিগ আরও বেশি দৃশ্যমান হবে এবং অন্য ক্লায়েন্টরা আপনাকে বিশ্বাস করবে। রিভিউ পাওয়ার জন্য আপনাকে:
- প্রতিটি কাজ দ্রুত এবং উচ্চমানের করতে হবে।
- ক্লায়েন্টের প্রশ্ন ও মন্তব্যের দ্রুত উত্তর দিতে হবে।
- একসঙ্গে অনেক কাজ করার থেকে এক একটি কাজ দক্ষতার সাথে শেষ করা গুরুত্বপূর্ণ।
২. নিয়মিত উপস্থিতি এবং কাজের প্রতি আগ্রহ
ফাইভার একটি ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস, তাই এখানে প্রতিযোগিতা অনেক বেশি। আপনাকে নিয়মিতভাবে প্ল্যাটফর্মে উপস্থিত থাকতে হবে এবং নতুন গিগ বা আপডেট দিতে হবে। Active Seller হিসেবে থাকতে আপনার গিগের দৃশ্যমানতা বাড়ে, ফলে নতুন ক্লায়েন্ট পাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
৩. Fiverr SEO ব্যবহার
ফাইভারে গিগ অপটিমাইজেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য:
- প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড ব্যবহার: গিগের টাইটেল, ট্যাগ এবং বর্ণনায় আপনার সার্ভিসের জন্য প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড ব্যবহার করুন।
- SEO-ফ্রেন্ডলি বর্ণনা: আপনার গিগ বর্ণনাকে SEO অপটিমাইজড করুন, যাতে সার্চে ভালো র্যাংক পায়।
৪. ক্লায়েন্টের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখা
ক্লায়েন্টদের সাথে দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক গড়ে তোলা গুরুত্বপূর্ণ। তারা যদি আপনার কাজের মানে সন্তুষ্ট থাকে, তাহলে তারা ভবিষ্যতেও আপনাকে অর্ডার দিতে পারে বা অন্যদের কাছে আপনার রেফার করবে।
ফাইবার থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় সেটির বিস্তারিত ভিডিওঃ
FAQ: ফাইবার থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়
ফাইবার থেকে মাসে কত টাকা আয় করা সম্ভব?
ফাইভার (Fiverr) থেকে মাসে কত টাকা আয় করা সম্ভব — তা নির্ভর করে অনেকগুলো বিষয়ের ওপর, যেমন আপনার স্কিল, অভিজ্ঞতা, রেটিং, রিভিউ, কাজের গুণমান, ক্লায়েন্ট হ্যান্ডলিং স্কিল, এবং সময় দেওয়ার পরিমাণ। নিচে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো:
ফাইভারে মাসিক আয়ের ধারণা:
অভিজ্ঞতা | মাসিক ইনকাম | ব্যাখ্যা |
---|---|---|
শুরুর পর্যায়ে (নতুন) | $50 – $300 (প্রায় ৬,০০০ – ৩৬,০০০ টাকা) | প্রথম ১–৩ মাসে কাজ পাওয়া তুলনামূলক কঠিন, তাই ইনকাম কম হতে পারে। |
মধ্যম পর্যায়ে (১+ বছর অভিজ্ঞতা) | $300 – $1000+ (প্রায় ৩৬,০০০ – ১ লক্ষ বিশ হাজার টাকা) | ভালো রেটিং ও রিভিউ থাকলে নিয়মিত অর্ডার পাওয়া সম্ভব। |
দক্ষ ফ্রিল্যান্সার (টপ রেটেড সেলার) | $1000 – $5000+ (১ লক্ষ বিশ হাজার – ৬ লক্ষ টাকা+) | জনপ্রিয় সার্ভিস যেমন ডিজাইন, ওয়েব ডেভ, SEO, মার্কেটিং দিয়ে প্রচুর ইনকাম সম্ভব। |
ফাইভারে মাসিক আয়ের বাস্তব উদাহরণ:
- একজন টপ রেটেড ফ্রিল্যান্সার যারা WordPress ওয়েবসাইট তৈরি করেন, তিনি গড়ে প্রতি প্রজেক্টে $200-$500 চার্জ করেন। যদি মাসে ১০টি অর্ডার পান, তবে আয় $2000+ দুই লক্ষ চব্বিশ হাজার টাকা হতে পারে।
- একজন গ্রাফিক ডিজাইনার যারা দিনে ২–৩টি লোগো ডিজাইন করেন (প্রতি লোগো $30–$100), তিনি মাসে $1000+ ১ লক্ষ বিশ হাজার টাকা আয় করতে পারেন।
ফাইভার থেকে কিভাবে টাকা তোলা যায়?
ফাইভারে কাজ করে আয় করা হলেও, সেই টাকা সংগ্রহ করা আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। ফাইভারে টাকা তোলার জন্য আপনাকে PayPal, Payoneer বা Fiverr Revenue Card-এর মতো পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করতে হবে। এর মাধ্যমে আপনি আপনার আয়ের টাকা সরাসরি আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করতে পারবেন।
ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা তোলার জন্য Payoneer অত্যন্ত জনপ্রিয়। এছাড়া Fiverr Revenue Card ব্যবহার করেও টাকা তুলতে পারেন।
শেষ কথাঃ ফাইবার থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়
যদি আপনি জানতে চান, “ফাইভার থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়“, তাহলে উত্তরটা হলো—আপনার দক্ষতা কাজে লাগিয়ে স্মার্টভাবে কাজ শুরু করা। সময়, ধৈর্য ও ধারাবাহিক চেষ্টার মাধ্যমে আপনি ফাইভারে সফল ফ্রিল্যান্সার হতে পারেন।
কোন স্কিল দিয়ে আপনি ফাইভারে শুরু করতে চান? আশা করি আমাদের আর্টিকেল পরে আপনি ফাইবার থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় তার বিস্তারিস্ত ধারনা পেয়েছেন।
আরও পড়ুন কিভাবে টাকা আয় করা যায়ঃ
- ফ্রি টাকা ইনকাম: সহজ ১০ উপায় শুরু করুন আজই!
- মোবাইলে টাইপিং করে টাকা ইনকাম করার উপায়
- মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় -১০টি সহজ পন্থা
- পার্ট টাইম কাজ করে কিভাবে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করবেন?
- মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায় -১০টি সহজ পন্থা